আপনার চাহিদা পূরণে-আমরা একটি পরিবার সম্পূর্ণ নিবেদিত। সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকার কারনেই আমরা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং নেতৃস্থানীয় এফএমসিজি কোম্পানিতে পরিণত হতে পেরেছি এবং বিশ্বের প্রায় ১৩ টি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়।
স্যামসন এইচ চৌধুরী , বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি উদ্যোক্তা, তিনি ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ইন্ডিয়া থেকে লেখাপড়া শেষ করে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসেছিলেন এবং পাবনা জেলার আতাইকুলা গ্রামে বসবাস স্থাপন করেছিলেন। যেখানে তার বাবা বহিঃবিভাগের ঔষাধালয়ে একজন মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করতেন।
১৯৫২ সালে তিনি আতাইকুলা গ্রামে এক ছোট ঔষাধালয় আরম্ভ করেছিলেন যা ঢাকা থে ১৬০কিঃ মিঃ দূরে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী তার তিন বন্ধুর সাথে অংশীদারি সমন্বয়ে ঔষধ প্রতিষ্ঠান আরম্ভ করেন। স্যামসন এইচ চৌধুরী পাঁচ দশক ধরে সৃষ্টি করেন স্কয়ার গ্রুপ যা বাংলাদেশের সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি।
যখন জিজ্ঞেস করা হতো কেন স্কয়ার নামটি মনোনীত করা হয়েছিলো তিনি বলতেন, “ আমরা এর নাম দিয়েছি স্কয়ার কারন এটি শুরু হয়েছিলো চার বন্ধুকে নিয়ে এবং এর তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ হচ্ছে সঠিক এবং পরিপূর্ণ গুনাবলী। ” যেমনটি তারা অঙ্গীকার করেছিলেন গুনগত মান সম্মত পণ্য তৈরি করতে। বর্তমানে সেই ১৯৫৮ সালের ছোট প্রতিষ্ঠানটি একটি পাবলিক তালিকাভুক্ত গ্রুপ অফ কোম্পানি যেখানে বর্তমানে ৫৬,০০০ এরও বেশি কর্মচারী রয়েছে। স্কয়ার গ্রুপের বর্তমান টার্নওভার ১০০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
স্কয়ার শুধু একটি নামই না, গুনগত মানের সমার্থক যেমন ঔষধ, হাসপাতাল, টেক্সটাইল, প্রসাধন, ভোগ্য পণ্য, ভেষজ ঔষধ, কৃষি ও গবাদি চিকিৎসক পণ্য, তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং আরও কয়েকটি উদ্যোগে।
তার শিষ্যদের কাছে স্যামসন এইচ চৌধুরী একজন আদর্শ, তার সমসাময়িক সময়ে একজন প্রতিমা, তরুন উদ্যোক্তাদের কাছে একজন পরামর্শদাতা এবং ব্যবস্থাপকদের কাছে তিনি একজন বিস্ময়কর সততার প্রতীক। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সবসময় মানুষের কল্যাণকে ব্যবসার মূল বিবেচ্য হিসেবে গন্য করা তাকে দেশের অনান্য ব্যাবসায়িকদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। এমনকি তার প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক অসন্তুষ্টির ঘটনা কখনই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ছিলেন দেশের সবচেয়ে করপ্রদানকারী ব্যক্তি।
স্যামসন এইচ চৌধুরী কঠোর পরিশ্রম, লক্ষ্য, স্বচ্ছতা এবং দূরদর্শী হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের এক বিরল প্রতীক হয়ে রয়েছেন। স্যামসন এইচ চৌধুরী ২০১২ সালের ৫ই জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন যা সত্যিই একটি যুগের পরিসমাপ্তি।
আমরা একক জাতীয়তায় বাস করি। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপেই মিশে আছে অনুকরণীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আমাদের মাতৃভাষার জন্য ভালবাসা, আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ যা একমাত্র আমাদেরই। আমাদের এই অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য আমাদের প্রত্যেকের সম্প্রীতি, উদ্যম, চাহিদা, স্বপ্ন ও আশার মূলে গেঁথে আছে। আমরা বিশ্বাস করি নিজস্ব এবং জাতীয় উভয় ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্রতার গুরুত্ব। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশংসিত গ্রুপ হিসেবে, আমাদের উন্নত মানের পণ্য এবং পরম আন্তরিকতার মধ্যমে আমরা অর্জন করেছি অভিজ্ঞতা এবং আপনার প্রত্যাশা পূরণে আমরা সর্বদা ব্যগ্র। আপনার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনাকে অনন্য হিসেবে বিবেচনা করেছি এবং তা পূরণের জন্য আমাদের রয়েছে অনন্য এবং আন্তরিক কর্মী। শুধুমাত্র আপনার জন্য, “ আপনার মতো অনন্য ” হওয়ার জন্য আমরা নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমরা ভোক্তার অনন্য চাহিদাগুলো বুঝতে চেষ্টা করি এবং সেই চাহিদাগুলোকে স্বকীয় উপায়ে পণ্যে পরিনত করি যা নিশ্চিত করে উন্নত মান, উচ্চ সেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্য।
বর্তমানে স্কয়ার হচ্ছে একটি মনের অবস্থার প্রতীক। ১৯৫৮ সালের শুরু যখন স্কয়ার গ্রুপের প্রধান কোম্পানি স্কয়ার ফারমাসিটিক্যালস প্রতিষ্ঠিত হয় তখন থেকে গত পঞ্চাশ বছর কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি অর্জনের মাধ্যমে আমরা বর্তমানে এসেছি। বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপ দ্রুত বেড়ে চলেছে এবং বাংলাদেশ এর সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছে গেছে।
স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড একটি পণ্য দিয়ে স্কয়ার ফারমাসিটিক্যালস এর একটি আলাদা বিভাগ হিসেবে ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করে।
১৯৯৪ সালে স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিনত হয়।
বর্তমানে স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড আন্তর্জাতিক মানের প্রসাধনী এবং সৌন্দর্যবর্ধক পণ্যের ২০ টি ব্রান্ড এবং ৫০ টি পণ্য উৎপন্ন করছে। এসব পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন, শিশু যত্ন, পোশাক সামগ্রী যত্ন, পুরুষদের প্রসাধনী ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড এর ব্যবসা পরচালিত হচ্ছে যত্ন এবং ঐতিহ্যের ছোয়া দিয়ে। যেমনঃ
মূল ব্যবসার পাশাপাশি স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন মানবপ্রেমি কার্যক্রম যেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, গরীব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আর্থিক সহয়তা প্রদান, এসিড ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা, বৃক্ষ রোপণ, সবার মাঝে স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি, লেখা পড়ায় সহযোগিতা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া এবং অর্থনৈতিক অবস্থানের উপর একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদ এর কাছে দেয়া হয় পর্যালোচনার জন্য, পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য। প্রতি মাসে সকল বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয় যেখানে অগ্রাধিকার বিষয় এবং সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপক গঠিত হয় পরিচালনা পরিচালক এবং প্রধান কার্যনির্বাহী অফিসার দ্বারা যাকে বোর্ড অফ ডিরেক্টর থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করা হয়ে থাকে। কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি স্তরের কাজ পরিচালনা করেন । বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং উপ-পরিকল্পনা প্রস্তুতি, প্রতিটি পণ্য এবিং সেবার লাভ ও বাজেট নির্ণয়, বিভিন্ন ব্যাতিক্রমধর্মী কাজ সম্পাদনের জন্য কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপক দায়িত্বপ্রাপ্ত। প্রতিটি দলগত উদ্যোগের দ্বারা ব্যবস্থাপক পরিচালকের মাধ্যমে এই কাজগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে।
ভোক্তার সুবিধা, কর্মচারী এবং সমাজ এই তিনটি স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড এর মূল্যবোধ ও মূলনীতি এর মূলভিত্তি। স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড বিশ্বাস করে যে, সমাজের সুবিধার্থে কাজ করা তাদের প্রধান দায়িত্ব। একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড সবসময় লাভের দিকেই নজর দেয় না বরং সমাজ এর প্রতি তার অঙ্গীকারগুলো পূরণের লক্ষ্যে আরও চেষ্টা করে। গুনগত মান এর নীতি অনুযায়ী প্রতিদিন প্রতিটি কাযেই এই মূল্যবোধ ও মূলনীতিগুলো প্রতিফলিত হয়।
স্কয়ার গ্রুপ তার প্রতিটি কোম্পানির সদস্যবৃন্দকে যত্ন এবং দায়িত্ব এর সাথে আটকে রেখেছে।
স্কয়ার গ্রুপের একটি অংপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড একটি ৩০০ শয্যার হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি Methodist Healthcare, Memphis, Tennessee, USA; Christian Medical College-Vellore, India; এবং Care IVF (In-vitro fertility centre) Centre, Singapore এর অধিভুক্ত পার্টনার। স্কয়ার হাসপাতালের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ, দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, সমগ্র ক্লিনিকাল সেবা, চিকিৎসা ও শুশ্রূষা, শিক্ষা এবং গবেষনার মাধ্যমে সবার পছন্দের জায়গায় পৌছানো। হাসপাতালটি ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকার বৃহত্তর অংশে পৌছানো। বর্তমানে এটা পান্থপথ দুপাশে একটি ওভার ব্রিজ দ্বারা সংযুক্ত দুটি ভবন দ্বারা গঠিত । প্রধান হাসপাতাল বিল্ডিংটি ১৮ তালা উঁচু এবং প্রায় ৪,৫০,০০০ স্কয়ার ফিট। দ্বিতীয় বিল্ডিংটি মূল রাস্তার কাছাকাছি অবস্থিত যা ১৬ তালা উঁচু এবং প্রায় ১,৩৬,০০০ স্কয়ার ফিট। দুটি বিল্ডিংই US Fire and Building safety standards. মেনে তৈরি করা হয়েছে। ৬০ টি পরিক্ষিত রুমের মাধ্যমে গঠিত হাসপাতালের বহিঃবিভাগ প্রতিদিন ১২০০ রোগীর সেবা প্রদান করে।
সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বহির্বিভাগ, জরুরী এবং ভর্তিকৃত রোগীদের উপর নিবিড়ভাবে পরযবেক্ষন রাখা হয়.
আরও পড়ুন
স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড তৈরি করেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আর তা হচ্ছে জনগণ। এ কারনেই এখানে কাজ করা এতটা আকর্ষণীয় সবার কাছে। স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড বিশ্বাস করে যে কর্মস্থল শুধুমাত্র প্রতিদিনের কাজ করার জায়গা থেকে আরও বেশি কিছু। এটি অবশ্যই হবে অনুসন্ধান, ব্যাক্তিগত প্রতিভা এবং পেশাদার দক্ষতা প্রকাশের মাধ্যম। যা উৎসাহিত এবং প্ররচিত করে থাকে অসাধারন কোন কিছু অর্জনের ক্ষেত্রে। স্কয়ার টয়লেট্রিস লিমিটেড তার কর্মচারীদের কর্মদক্ষতায় গর্বিত। সর্বপরি প্রতিভা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং আমাদের মানুষের আবেগের সংমিশ্রণ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছে।