চিকনগুনিয়ার রোগ সাধারণত এডিস নামক একটি মশা দ্বারা সংক্রামিত হয় যা বেশীরভাগ সময় এবং আফ্রিকা, এশিয়াতে, উত্তর-পূর্ব ইতালিতে পাওয়া গিয়েছে। এর লক্ষণগুল ও অনেকটা ডেংগুর মতই যার কারনে একে অনেকেই ডেংগুর সাথে মিলিয়ে ফেলে।
লক্ষণঃ
সংক্রামণের ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং ত্বকে লাল ফুসকুড়ি ওঠে। জয়েন্টের ব্যথা কিছু দিন, সপ্তাহ আবার অনেক সময় কিছু মাস ধরেও থাকে। এর ব্যথা থেকেই এই রোগের তিব্রতা বা স্থায়িত্ব ধারনা করা যায় ।
এই রোগে নিরামক না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই হাঁসপাতালে যাওয়ার দরকার পরে না কিন্তু ছোট বাবু কিংবা ৬৫ বছরের উপরে বয়স হলে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভাল।
৮ টি বিশেষ উপায় যা আপনাকে চিকনগুনিয়ার রোধে সাহায্য করবেঃ
চিকনগুনিয়ার সংক্রামণ রোধের উপায়:
এখনও চিকনগুনিয়ার কোন টিকা আবিস্কার হয়নি।তাই এ রোগ থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হল মশার প্রজনন রোধ করা, মশা তাড়ানো এবং মশা থেকে দূরে থাকা ।
-
১
মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্য মশা প্রতিরধক ব্যাবহার করুন যাতে পিকারডিন, ডিট অথবা লেবুর ইঊক্যালিপটাস রয়েছে ।
-
২ <
আপনার যদি এসি থাকে তবে তা রাতে চালিয়ে রাখুন যাতে মশা আপনাকে রাতে বিরক্ত না করতে পারে।
-
৩ <
কোন ফাঁকা স্থানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না কারন এই মশা অন্ধকারে, আবদ্ধ স্থানে প্রজনন কাজ করে থাকে। তাই আপনার ব্যক্তিগত স্থান, পানির ট্যাংক এর কভার, ফুলদানি কোন কিছু দিয়ে ডেকে রাখার চেষ্টা করুন।
-
৪ <
ওভারহেড ট্যাঙ্কে কোন ছিদ্র বা ফাকা থাকলে তা ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তবে ওভারহেড ট্যাঙ্ক সবসময় পরিস্কার রাখুন।
-
৫ <
লম্বা হাতা ও বড় প্যান্ট পরার চেষ্টা করুন। জুতার সাথে মোজা পরার অভ্যাস করুন।
-
৬ <
আপনার দরজা কিংবা জানালায় মশার নেট বা পর্দা দিন। যদি তা সম্ভব না হয় তবে সন্ধ্যার দিকে আপনার বাসার দরজা জানালায় বন্ধ করে দিন।
-
৭ <
মশা বিতারক ব্যাবহার করুন। মশা বিতারক হিসাবে “এক্সপেল” ব্যাবহার করতে পারেন।
-
৮ <
আপনার যদি চিকনগুনিয়া হয়ে থাকে তবে মশার কামড় থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন কারন এ মশা আপনার থেকে অন্যদের রোগ ছড়াবে।