স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ফেমিনা,স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের বিশেষ আয়োজন।

প্রাকৃতিক নিয়মের খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বের অনেক দেশে এবং আমাদের দেশে এখনও এটাকে, লজ্জাজনক, অপবিত্র ও নেতিবাচক আঙ্গিকে দেখা হয়।বেশিরভাগ দেশেই এই বিষয়ে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করার পরিবেশ বা সুযোগ নেই।

এখনই সময় এই বাধার দেয়াল সরিয়ে মেয়েদের পিরিয়ড সম্পর্কে মানুষের মানসিক সঙ্কীর্ণতা কে দূর করা। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এই সমস্যার অনেক কারন রয়েছে। একটি কারন হোচ্ছে, এই বিষয়ে নারীদের জ্ঞানের স্বল্পতা। যার ফলে নারীরা নিজের বাসায়, কর্মক্ষেত্রে এবং দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়।

এই সমস্যার কারনে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত নারীরা মাসে ছয় দিন পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকে। ৯৭% নারী তাদের পিরিয়ড এর সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারনে সার্ভিকাল সংক্রমণ সংক্রান্ত জটিলতা দ্বারা আক্রান্ত হয়। এছাড়াও তারা উন্মুক্ত জরায়ু, ইউটিআই ও আরটিআই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।এর দ্বারা গর্ভে জটিলতার উদ্ভব হতে পারে এবং স্বাভাবিক যৌন জীবন ব্যহত হতে পারে।
এই সমস্যার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের সমাধান করতে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড এগিয়ে এসেছে। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের জন্য কোম্পানি গুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রেরন করছে।
মহিলা শ্রমিকদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান ছাড়াও এর সঠিক ব্যবহার,ব্যবহার পরবর্তী পদক্ষেপ এবং ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে।
এমনকি কারখানায় পুরুষ কর্মীদেরও এর গুরুত্ব সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে। অভিজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং কর্মস্থলে মহিলা শ্রমিকদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। কারখানার ডাক্তারদেরও এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এই ধরনের সম্মিলিত উদ্যোগ কারখানার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করছে এবং মহিলা শ্রমিকদের অনুপস্থিতির হার হ্রাস পেয়েছে। সেইসাথে কারখানার মালিক ও ব্যবস্থাপনা কমিটিও উপকৃত হচ্ছে।
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড প্রতিদিন পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের উন্নতি বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করছে, যার প্রভাব স্বাভাবিক ভাবেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে অবদান রাখছে।